আপনি চিৎকার করেন গলা ছেড়ে, আরাম পাবেন। অন্তত তেমনই বলা হচ্ছে মানসিক রোগের চিকিৎসার পরিসরে।
চিকিৎসার ভাষায় এটি হল ‘স্ক্রিম থেরাপি’। অর্থাৎ চিৎকার করে মনের সমস্ত অভিব্যক্তিকে বার করে দিতে হবে। তবেই আরাম মিলবে। অনেকেই ক্যাথারসিসের (তীব্র বা অবদমিত আবেগ মুক্ত করার প্রক্রিয়া) ধারণার সঙ্গে পরিচিত। ‘স্ক্রিম থেরাপি’ এর থেকে খুব আলাদা নয়। এই ধরনের চিকিৎসার কথা প্রথম বার বলেছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিদ আর্থার জানভ। ১৯৭০ সালে তাঁর বই ‘দ্য প্রাইমাল স্ক্রিম’-এ তিনি দাবি করেন, মনের ভিতরে জমে থাকা শৈশবের আতঙ্ক, দুঃখ, ভয়, রাগ, ইত্যাদি ‘প্রাইমাল’ বা মূল অনুভূতিগুলি কেঁদে, চিৎকার করে প্রকাশ করতে পারলে মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই একে ‘প্রাইমাল থেরাপি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সত্তর এবং আশির দশকে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি, সঙ্গীতশিল্পী জন লেনন এবং তাঁর স্ত্রী ইয়োকো ওনোও এই থেরাপি নিয়ছিলেন।
থেরাপির সময় এক জন ব্যক্তি চিৎকার করতে পারেন, কান্নাকাটি করতে পারেন, একেই বলে ‘প্রাইমাল স্ক্রিম’। তিনি আসলে তাঁর গভীরতম, অবদমিত আবেগগুলিকে শারীরিক ভাবে প্রকাশ করছেন। এক কথায় বললে, অবদমিত আবেগ জমে জমে পাহাড় বা স্তূপ তৈরি করলে এই থেরাপি সব কিছুকে একসঙ্গে ভেঙে দিতে পারে। মূলত চার ধাপে এই থেরাপি করানো হয়—
১। মনোবিদ বা থেরাপিস্টের সাহায্যে মনের ভিতরে জমে থাকা আবেগগুলিকে মনে করতে হয়।
২। এ বার অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করার পালা। নিরাপদ পরিসরে চিৎকার, কান্নাকাটির মাধ্যমে আগল ভাঙতে হয়।
৩। মানসিক আঘাতের ফলে নিজের উপর কী প্রভাব পড়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তার পর অভিজ্ঞতাগুলির মুখোমুখি হতে হবে, তার পর নিজেকে চিনতে শিখতে হবে।
৪। বর্তমান জীবনকে কী ভাবে সুস্থ করা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে। কঠিন পর্যায়গুলির সঙ্গে মোকাবিলা করার নিজেকে শক্তিশালী মনে করতে হবে।
তবে এই প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক কার্যকারিতা সম্পর্কে পরবর্তী কালে অনেক মনোবিদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ফলে এই থেরাপি নিয়ে নানাবিধ বিতর্ক রয়েছে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে এই থেরাপিতে লুকিয়ে থাকা ট্রমা আবার ফুঁড়ে বেরোলে সেটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।
চিকিৎসার ভাষায় এটি হল ‘স্ক্রিম থেরাপি’। অর্থাৎ চিৎকার করে মনের সমস্ত অভিব্যক্তিকে বার করে দিতে হবে। তবেই আরাম মিলবে। অনেকেই ক্যাথারসিসের (তীব্র বা অবদমিত আবেগ মুক্ত করার প্রক্রিয়া) ধারণার সঙ্গে পরিচিত। ‘স্ক্রিম থেরাপি’ এর থেকে খুব আলাদা নয়। এই ধরনের চিকিৎসার কথা প্রথম বার বলেছিলেন, ক্যালিফোর্নিয়ার মনোবিদ আর্থার জানভ। ১৯৭০ সালে তাঁর বই ‘দ্য প্রাইমাল স্ক্রিম’-এ তিনি দাবি করেন, মনের ভিতরে জমে থাকা শৈশবের আতঙ্ক, দুঃখ, ভয়, রাগ, ইত্যাদি ‘প্রাইমাল’ বা মূল অনুভূতিগুলি কেঁদে, চিৎকার করে প্রকাশ করতে পারলে মানসিক ভাবে অনেকটা সুস্থ হওয়া সম্ভব। তাই একে ‘প্রাইমাল থেরাপি’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সত্তর এবং আশির দশকে এটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এমনকি, সঙ্গীতশিল্পী জন লেনন এবং তাঁর স্ত্রী ইয়োকো ওনোও এই থেরাপি নিয়ছিলেন।
থেরাপির সময় এক জন ব্যক্তি চিৎকার করতে পারেন, কান্নাকাটি করতে পারেন, একেই বলে ‘প্রাইমাল স্ক্রিম’। তিনি আসলে তাঁর গভীরতম, অবদমিত আবেগগুলিকে শারীরিক ভাবে প্রকাশ করছেন। এক কথায় বললে, অবদমিত আবেগ জমে জমে পাহাড় বা স্তূপ তৈরি করলে এই থেরাপি সব কিছুকে একসঙ্গে ভেঙে দিতে পারে। মূলত চার ধাপে এই থেরাপি করানো হয়—
১। মনোবিদ বা থেরাপিস্টের সাহায্যে মনের ভিতরে জমে থাকা আবেগগুলিকে মনে করতে হয়।
২। এ বার অনুভূতিগুলিকে প্রকাশ করার পালা। নিরাপদ পরিসরে চিৎকার, কান্নাকাটির মাধ্যমে আগল ভাঙতে হয়।
৩। মানসিক আঘাতের ফলে নিজের উপর কী প্রভাব পড়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তার পর অভিজ্ঞতাগুলির মুখোমুখি হতে হবে, তার পর নিজেকে চিনতে শিখতে হবে।
৪। বর্তমান জীবনকে কী ভাবে সুস্থ করা যায়, তার জন্য পদক্ষেপ করতে হবে। কঠিন পর্যায়গুলির সঙ্গে মোকাবিলা করার নিজেকে শক্তিশালী মনে করতে হবে।
তবে এই প্রক্রিয়ার বৈজ্ঞানিক কার্যকারিতা সম্পর্কে পরবর্তী কালে অনেক মনোবিদ সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। ফলে এই থেরাপি নিয়ে নানাবিধ বিতর্ক রয়েছে। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে এই থেরাপিতে লুকিয়ে থাকা ট্রমা আবার ফুঁড়ে বেরোলে সেটা যন্ত্রণাদায়ক হতে পারে।